শুক্রবারের (০৫ মার্চ) এ হামলায় আরও ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা
মোগাদিসুর বন্দরের কাছাকাছি অবস্থিত একটি রেস্তোরাঁর বাইরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আমিন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের প্রতিষ্ঠাতা ড. আবদুল কাদির রয়টার্সকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে ২০টি মরদেহ এবং ৩০ জন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, বন্দরের কাছাকাছি লুল ইয়েমেনি রেস্তোরাঁর বাইরে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
হামলার পর রেস্তোরাঁর পাশে অন্তত একটি ভবন মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতের খাবারের সময়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে, যখন রেস্তোরাঁটি মানুষে পরিপূর্ণ ছিল।
আহমেদ আবদুল্লাহি নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, একটি দ্রুতগতির গাড়ি লুল ইয়েমেনি রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরিত হয়। আমি রেস্তোরাাঁটির দিকেই যাচ্ছিলাম। যখন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় আমি আর সেদিকে যাইনি।
পুলিশের মুখপাত্র সাদিক আলি এ হামলার জন্য আল শাবাবকে দায়ী করছেন।
যদিও এখন পর্যন্ত কেউই এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওসমান বলেন, বিস্ফোরণটি অত্যন্ত মারত্মক ছিল এবং এতে ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বেশি। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর অনেক খবর জানা গেছে। মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যাটি জানার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আল কায়েদার সঙ্গে আল শাবাবের যোগাযোগ রয়েছে। এ সংগঠন মাঝেমধ্যেই মোগাদিসুতে হামলা চালায়। লুল ইয়েমেনি রেস্তোরাঁয়টিতে গতবছরও হামলা হয়েছিল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।